
রেসলম্যানিয়া ৩১ এর সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য ব্যাপার ছিল প্রায় প্রতি ম্যাচেই দুই প্রতিপক্ষেরই ফিনিশার মুভগুলো অপনেন্ট দ্বারা ডিনাইড হয়েছে!
ত্রিপল এইচ- স্টিং ম্যাচ দিয়েই চিন্তা করা যাক। ত্রিপল এইচ যেখানে তার “পেডিগ্রি” দুনিয়ার বাঘাবাঘা সব রেসলারদের কাবু করে ফেলতেন সেখানে নবাগত স্টিং ত্রিপল এইচ এর পেডিগ্রি ডিনাই করল!
এরপর জন সিনা- রেসভ ম্যাচের কথা বলা যেতে পারে। রুসেভের “একেলেডে” এখন পর্যন্ত কেউ ভাঙ্গতে পারে নাই। জন সিনা নিজেও এই একেলেডে এর কারণে রুসেভের কাছে সাবমিশনে হেরেছিল। কিন্তু রেসলম্যানিয়াতে এসে জন সিনা ঠিকই একেলেডে ভেঙ্গে দিলেন!
এরপর বলতে হবে সেথ রলিন্স আর রেন্ডি অরটন এর কথা। এই ম্যাচে রেন্ডি অরটন সিকুরিটি জে এন্ড জে কে ২ টা “ডিডিটি” ২ টা “আরকেও” দিয়েছিল। সাথে সেথ রলিন্সকেও ২ বার আরকেও দিয়েছিল। প্রথমবার রলিন্স “আরকেও” ডিনাই করে! যা ছিল একটা বিস্ময়কর ঘটনা। অবশ্য সেথ রলিন্স এর ফিনিশার ‘কার্ব স্টম্প’ও ডিনাই করে রেন্ডি অরটন। অথচ ৪ মাস আগেই এই ‘কার্ব স্টম্প’ এর কারণে ৪ মাসের ইঞ্জুরিতে পড়ে রেন্ডি অরটন। ম্যাচ শেষ হয় সেথ রলিন্স এর ফিনিশার কে কাউন্টার করে রেন্ডি অরটন এর ফিনিশার “আরকেও” দিয়ে। রেসলম্যানিয়ার বেস্ট মুভ ছিল ওটা!
আন্ডারটেকার- ব্রেই ওয়েট এর ম্যাচে ছিল একই ঘটনা। আন্ডারটেকার তার সিগনেচার মুভ “ওল্ড স্কুল” “হেল’স গেট” সাকসেসফুলি এক্সিকিউট করে। কিন্তু ব্রেই ওয়েট ঠিকই সেসব ডিনাই করে যাচ্ছিল। এমনকি ম্যাচে মাঝামাঝি সময়ে ওয়েট বেশ ভালোভাবেই ডমিনেট করতেছিল। আন্ডারটেকারকে ২ বার তার ফিনিশার “সিস্টার এবিগেইল” দিয়ে পিনও করে। কিন্তু আন্ডারটেকার ডিনাই করেন। ব্রেই ওয়েটও আন্ডারটেকার এর ফিনিশার “টম্বস্টোন পাইলড্রাইভার” ডিনাই করে। যদিও আন্ডারটেকার তার ২২ তম রেসলম্যানিয়া ম্যাচ জিতেন “টম্বস্টোন পাইলড্রাইভার” দিয়েই।