
২৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে এফসি পোর্তো’র ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক দানিলো’কে দলে ভেড়ালো রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল মাদ্রিদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নিশ্চিত করেছে খবরটি। ওদিকে পোর্তো’র হয়ে খবরটি নিশ্চিত করেছে পর্তুগীজ স্টক এক্সচেইঞ্জ। পরবর্তী মৌসুমে একেবারে পাকাপাকিভাবে রিয়ালে যোগ দেবেন তিনি, রিয়ালের হয়ে তার চুক্তি ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
২৩ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক এরইমধ্যে ব্রাজিল দলে নিয়মিত খেলছেন, খেলে ফেলেছেন ১১টি ম্যাচ, গত বিশ্বকাপের পর থেকে ব্রাজিল দলে দানি আলভেস ও মাইকনের পরিবর্তে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এফসি পোর্তোর হয়ে এরই মধ্যে দুটি পর্তুগীজ লীগ জেতা হয়ে গেছে তাঁর।

দানিলো’কে পাওয়ার লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে আরও ছিল বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুলের মত ক্লাব। বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারের সাথে দানিলো’র খুব বন্ধুত্ব, তাই বার্সেলোনাকেই মনে করা হচ্ছিল দানিলো’র পরবর্তী ঠিকানা।
এদিকে আরেকটা মজার ব্যাপার হচ্ছে, দানিলো নিজে কিন্তু বার্সেলোনা ফ্যান! তাই মোটামুটি সবাই ধরে নিয়েছিল জাতীয় দলের সতীর্থ দানি আলভেসকে বার্সাতেও রিপ্লেইস করবেন দানিলো। এদিকে আলভেসের অফ ফর্ম, ট্র্যান্সফার ব্যান সবকিছু মিলিয়ে বার্সেলোনারও একটা রাইটব্যাক প্রচণ্ড দরকার ছিল, কারণ এই গ্রীষ্মে দলে আসা ডগলাস সেরকম প্রভাব ফেলতে পারেন নি। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ তা হতে দিলো না। রিয়াল মাদ্রিদ তাই এখন নিজেদের স্কোয়াডে লুকা মডরিচ, ও ইস্কোর পাশাপাশি আরেকজন পেয়ে গেল যিনি কিনা আগে বার্সেলোনা সাপোর্ট করতেন!

একজন রাইটব্যাক দরকার ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুলেরও। কোচ লুই ভ্যান হালের অধীনে রাফায়েল সেরকম জ্বলে উঠতে পারেননি, ফলে প্রায়ই আন্তোনিও ভ্যালেন্সিয়াকে রাইটব্যাক, রাইট-উইংব্যাক পজিশানে খেলতে হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। তাই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও দানিলোকে দলে নেবার দৌড়ে ছিল।
হিসাব করলে রিয়াল মাদ্রিদেরই রাইটব্যাকের প্রয়োজন ছিল সবচেয়ে কম এদের মধ্যে। দলে আছেন নিজেদের অ্যাকাডেমির প্লেয়ার স্প্যানিশ তরুণ দানি কারভাহাল, যিনি গত দুই মৌসুম ধরেই দুর্দান্ত খেলছেন। তাঁর ব্যাকআপ হিসেবে ছিলেন আরেক স্প্যানিশ, অভিজ্ঞ আলভারো আরবেলোয়া। তাই এত দামের বিনিময়ে দানিলোর রিয়াল মাদ্রিদে যোগদানের খবরে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছে।