
২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপের সময় আমরা সাকিরার কণ্ঠে একটি গান পাড়া মহল্লার দোকানে শুনতে পেতাম, টিভি রেডিও তো আছেই। গানটি ছিল,
সামিনা মিনা ওয়াকা ওয়াকা
দিস টাইম ফর আফ্রিকা
এখন পাকিস্তানকে বাংলা ধোলাই আর ভারতকে কাটারে কেটে ফেলার পর আমরা যদি মনে করতে থাকি এবার এদেরকেও ধোলাই করবো, তাহলে আমি বলবো আপনি দিবা স্বপ্ন দেখছেন। তার মানে এই না যে এটা সম্ভব না, অবশ্যই সম্ভব। নেপোলিয়নের কথামতো অসম্ভব শব্দটি বোকাদের অভিধানেই শুধু পাওয়া যায়। কাজটা কঠিন, এভারেস্ট জয়ের মতো কঠিন।
এদের গতি আর ঘূর্ণি, দুই তলওয়ারেই সমান ধার। যেমন আছে স্তেইন ফিল্যান্দার পারনেলের গতি তেমনি আছে ফাঙ্গিসর স্পিন। জে পি দুমিনিকে ভুলে গেলে তিনিই আপনাকে মনে করিয়ে দেবেন তার ঘূর্ণির ধার। শ্রীলঙ্কাকে বল হাতে ধসিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু এই দুমিনি। তাই বলি ভাই, কাজটা অনেক কঠিন।
ব্যাট হাতে তাদের দলে এবি ডি ভিলিয়ারস আছেন তাণ্ডব চালাতে। তবে তাকে আটকাতে ঘূর্ণির মায়াজাল ছড়িয়েছেন আমাদের নেতা। সেই জালের কারিগর নাসির আর গাজী, আছেন সাকিব আল হাসান। প্রথম কুড়ি ওভারের উৎসবে এবি কিন্তু ডানা মেলতে পারেননি। তাতে কি হয়েছে? আছেন আমলা, দু প্লেসিস, রুশো, মিলার দ্য কিলার। কজনকে আটকাবেন আপনি?
জিততে হলে দিতে হবে ১০০%। মানে ১০০% ই। ক্যাচ ফেলা চলবে না। বাজে শটে উইকেট দিলেন তো মরলেন। এক দুয়ের উপর নির্ভর করে খেলাটা শিখতে হবে। এটা কিন্তু একটা শিল্প। রানাতুঙ্গা আর ডি সিল্ভাকে মনে আছে? তারা দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন কিন্তু ঐ গুণটির জোরে। রানের চাকাকে সচল রাখা আবার ঝুঁকি না নেওয়া- এটা আসলে অনেক বড় শিল্প। আকাশে ভাসিয়ে না দিয়ে গ্যাপ বের করে খেলা, এগুলো না শিখলে আসলে এই সব দলের বিপক্ষে খেলা সহজ হবেনা।
চিত্ত যেথা ভয়শূন্য
উচ্চ সেথা শির।
শুভকামনা বাঘের দলকে।