
ইউরো ২০১৬ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে খেলা সুইজারল্যান্ডের এই দলটায় মোটামুটি বেশ কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড় আছেন যাদের সামর্থ্য আছে অঘটন ঘটানোর। কোচ ভ্লাদিমির পেতকোভিচ এই লক্ষ্যেই ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন। দেখে নেওয়া যাক কে কে আছেন সুইজারল্যান্ডের মূল স্কোয়াডে!
গোলরক্ষক
- ইয়ান সোমার (বরুশিয়া মনশেনগ্ল্যাডবাখ)
- রোমান বুয়ের্কি (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড)
- ইভন এমভোগো (র্যাসেনবলস্পোর্ত লাইপজিগ)
ডিফেন্ডার
- ম্যানুয়েল আকাঞ্জি (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড)
- ইয়োহান জোরু (আন্তালিওস্পোর)
- ফাবিয়ান শায়ের (দেপোর্তিভো লা করুনিয়া)
- স্টেফান লিখটস্টাইনার – অধিনায়ক (আর্সেনাল)
- মাইকেল ল্যাং (এফসি বাসেল)
- নিকো এলভেদি (বরুশিয়া মনশেনগ্ল্যাডবাখ)
- ফ্র্যাঙ্কো মৌবাঁজে (তুলোঁ)
মিডফিল্ডার
- গ্রানিত শাকা (আর্সেনাল)
- ভ্যালন বেহরামি (উদিনেসে)
- ব্লেরিম জেমাইলি (বোলোনিয়া)
- জেলসন ফার্নান্দেজ (আইনট্র্যাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্ট)
- জের্দান শাকিরি (স্টোক সিটি)
- স্টিভেন জুবার (হফেনহেইম)
- ডেনিস জাকারিয়া (বরুশিয়া মনশেনগ্ল্যাডবাখ)
- রেমো ফ্রুলার (আটালান্টা)
স্ট্রাইকার
- হারিস সেফেরোভিচ (বেনফিকা)
- জোসিপ দরমিচ (বরুশিয়া মনশেনগ্ল্যাডবাখ)
- ব্রিল এমবোলো (শালকে ০৪)
- মারিও গাভরানোভিচ (ডায়নামো জাগ্রেব)
কোচ ভ্লাদিমির পেতকোভিচের পছন্দের ফর্মেশন হল ৪-২-৩-১। গোলবারের নিচে থাকবেন বরুশিয়া মনশেনগ্ল্যাডবাখের হয়ে খেলা, সুইজারল্যান্ডের হয়ে এই পর্যন্ত ৩৫ ম্যাচ খেলা গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। তাঁর বিকল্প হিসেবে দলে আছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের গোলরক্ষক রোমান বুয়ের্কি ও র্যাসেনবলস্পোর্ত লাইপজিগের উদীয়মান তারকা গোলরক্ষক ইভন এমভোগো। ডিফেন্সে দুইজন সেন্টারব্যাকের মধ্যে দেপোর্তিভো লা করুনিয়ার ফাবিয়ান শায়ের অবশ্যই খেলবেন। তার সঙ্গী হবার জন্য লড়বেন সাবেক আর্সেনাল ডিফেন্ডার ইয়োহান জোরু ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের তরুণ সেনসেশন ম্যানুয়েল আকাঞ্জি। আকাঞ্জির খেলার সম্ভাবনাই বেশী। রাইটব্যাক হিসেবে খেলবেন দলের অধিনায়ক, সদ্য আর্সেনালে যোগ দেওয়া রাইটব্যাক স্টেফান লিখটস্টাইনার। লেফটব্যাকে কোচের মূল পছন্দ এসি মিলানে খেলা লেফটব্যাক রিকার্ডো রড্রিগেজ।

দুইজন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের মধ্যে আর্সেনালের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার গ্রানিত শাকার জায়গা পাকা। ক্লাব ক্যারিয়ারে আর্সেনালের হয়ে প্রায় সময়ই খারাপ খেলা শাকা সুইজারল্যান্ড দলের জার্সি গায়ে দিলেই যেন অন্যরকম হয়ে যান। গত ইউরোতে সুইজারল্যান্ড এর হয়ে প্রত্যেকটা ম্যাচের প্রত্যেকটা মিনিট খেলেছেন এই শাকা। তাই এবারো মূল দলে তার জায়গা নিশ্চিত। তার সঙ্গী হিসেবে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে থাকবেন উদিনেসে তে খেলা ভালোন বেহরামি।
সেন্ট্রাল এটাকিং মিডফিল্ডে সুইজারল্যান্ড এর মূল দলে খেলবেন ব্লেরিম জেমাইলি। সাধারণত সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেললেও সুইস দলে আরেকটু উঁচুতে খেলানো হয় জেমাইলিকে। জেমাইলির দুইপাশে থাকবেন স্টোক সিটির জের্দান শাকিরি আর শালকে ০৪ এর ব্রিল এমবোলো। শাকিরি উপরেই গোল করার মূল দায়িত্ব থাকবে, “আলপাইন মেসি” নামে খ্যাত এই উইঙ্গার যেকোন মুহুর্তে প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে গোল করার ও করানোর সামর্থ্য রাখেন। সামনে একমাত্র স্টড়াইকার হিসেবে খেলবেন বেনফিকার স্ট্রাইকার হারিস সেফারোভিচ। এই সেফারোভিচের বিকল্প স্ট্রাইকার হিসেবে দলে আছেন বরুশিন মনশেনগ্ল্যাডবাখের জোসিপ দরমিচ ও ডায়নামো জাগ্রেবের মারিও গাভরানোভিচ।
এই সুইজারল্যান্ড দলের কোন দুর্বলতা থেকে থাকলে সেটা এই স্ট্রাইক পজিশনেই। মূল স্ট্রাইকার হারিস সেফারোভিচ গোল করার জন্য অত খ্যাত না। যার কারণে গোল করার মূল দায়িত্ব এই শাকিরির উপরেই বর্তায়।
সুইজারল্যান্ড এবার যে গ্রুপে আছে, সেই গ্রুপ ‘ই’ তে আছে ব্রাজিল, সার্বিয়া আর কোস্টারিকা। যে গ্রুপে ব্রাজিল থাকে, সে গ্রুপের শীর্ষ দল হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবার আশা করে লাভ নেই, সে কথা জানে সুইজারল্যান্ড। কোন রকমে দ্বিতীয় রাউন্ডে যদি উঠতে পারে, তখন দ্বিতীয় রাউন্ডে তাদের জন্য অপেক্ষা করবে জার্মানি। তাই বলা যেতে পারে এবার দ্বিতীয় রাউন্ডেই শেষ হয়ে যেতে পারে সুইসদের স্বপ্ন।