
এসেছে নতুন বছর। নতুন বছরে জানুয়ারির ৫ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর ষষ্ঠ আসর। এর মধ্যেই বিপিএল এর দলগুলো নিজেদের বেশ ভালোভাবেই গুছিয়ে নিয়েছে। দেশী-বিদেশী খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজিই নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছে শক্তিশালী দল গড়ে তোলার। গোল্লাছুট ডটকমে বিপিএল এর সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে আলোকপাত করা হবে। আজকে দেখে নিন সিলেট সিক্সার্স সম্পর্কে।
পাদপ্রদীপের আড়ালে থেকে বেশ শক্তিশালী স্কোয়াড গঠন করেছেন সিলেট সিক্সার্স। দলের ব্যাটিং শক্তি বাড়ানোর জন্য আনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারকে। তাঁর হাতেই এবার অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড তুলে দিচ্ছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ছেলে সাহেদ মুহিতের মালিকানায় থাকায় সিলেট সিক্সার্স। ওয়ার্নারের হাত ধরেই ২০১৬ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) শিরোপা জিতেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ওয়ার্নারের পাশাপাশি দলের ওপেনার হিসেবে আছেন বাংলাদেশের লিটন দাস, ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান ও আন্দ্রে ফ্লেচার। মিডল অর্ডারে দলের ব্যাটিং শক্তি বৃদ্ধি করবেন বাংলাদেশের নাসির হোসেন ও সাব্বির রহমান, অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অলক কাপালি। বলা হয়, এ যুগের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সাফল্য পাওয়ার জন্য লেগ স্পিনারের অনেক দরকার। সেক্ষেত্রে সিলেট সিক্সার্স বেশ শক্তিশালীই বলা চলে। কেননা দলে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার ইমরান তাহির ও নেপালের প্রতিভাবান লেগস্পিনার সন্দ্বীপ লামিচ্ছানে। স্পিন শক্তিতে বলীয়ান সিলেট দলে নিয়েছে প্রতিভাবান অফস্পিনার আফিফ হাসান ধ্রুব কেও। এরা ছাড়াও দলে স্পিনার হিসেবে রয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ। প্রয়োজনে নাসির বা সাব্বিরও হাত ঘোরাতে পারেন বেশ।
সিলেট সিক্সার্স দলে পেস আক্রমণের মূল নাম দেশের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ। তাসকিন ছাড়াও দলে আছেন আল আমিন হোসেন। পাকিস্তানের দুই পেসার সোহেল তানভির ও সাতফুটি মোহাম্মদ ইরফানকেও এনেছে দলটি। আছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতিভাবান পেসার এবাদত হোসেনও। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করা জাকের আলী, নাবিল সামাদ ও তৌহিদ হৃদয়কেও এনেছে দলটা। দলের কোচ হিসেবে থাকছেন পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিস। আসুন দেখে নেওয়া যাক কে কে আছেন এই দলে!
- নাসির হোসেন
- সাব্বির রহমান
- লিটন দাস
- সোহেল তানভীর – পাকিস্তান
- ডেভিড ওয়ার্নার – অস্ট্রেলিয়া
- সন্দ্বীপ লামিচানে – নেপাল
- আফিফ হোসেন
- তাসকিন আহমেদ
- আল-আমিন হোসেন
- তৌহিদ হৃদয়
- মোহাম্মদ ইরফান – পাকিস্তান
- নাবিল সামাদ
- এবাদত হোসেন
- অলক কাপালি
- জাকের আলী
- গুলবাদিন নাইব – আফগানিস্তান
- আন্দ্রে ফ্লেচার – ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- মেহেদি হাসান রানা
- প্যাট ব্রাউন – ইংল্যান্ড
- নিকোলাস পুরান – ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- মোহাম্মদ নাওয়াজ – পাকিস্তান
- ইমরান তাহির – দক্ষিণ আফ্রিকা