
গত আসরে তাদের দলের প্রাণভোমরা সাকিব আল হাসান এবার ঢাকায়। কিন্তু তার পরও দলটা ভালোই ছিল। তবে পারিশ্রমিক নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ঝামেলা বাঁধিয়ে আলোচনায় এসেছে ভাওয়াইয়ার দেশের দলটি।
শহীদ আফ্রিদি এই দলের সব থেকে বড় তারকা। কিন্তু এই অননুমেয় আফ্রিদি যে কবে ডাক মারবেন আর কবে সেঞ্চুরি হাঁকাবেন, কেউ বলতে পারেনা। এখনো তিনি সেই আগের মতোই প্রতিটা বলকে আকাশের ঠিকানায় পাঠাতে চান, তবে হরহামেশাই ফিল্ডারের হাতে হয় সেসব বলের শেষ ঠিকানা!

সৌম্যর জন্য এই আসর নিজেকে ফিরে পাওয়ার। তাকে আইকন নির্বাচিত করাতে একটু অবাকই হয়েছি, সত্য বলতে গেলে। নাসির যদি আইকন হয়ে এই দলকে নেতৃত্ব দিতেন, তাহলে বলতাম এরা শিরোপার শক্ত দাবিদার।
জিয়াউর রহমানেরও প্রমাণের আছে অনেক কিছু। উইকেট টু উইকেট বোলিং আর বিগ হিট করার ক্ষমতা নিয়ে তিনি হতে পারেন এই ফরম্যাটের দারুন এক খেলোয়াড়। তাকে সেটার প্রমাণ দিতে হবে এবারের বিপিএলে। ছক্কা নাইম- নাইম ইসলাম তার নামের সার্থকতা প্রমাণ করতে পারলে প্রতিপক্ষ অধিনায়কদের কপালের ভাজ আরও বাড়বে। সাথে রুবেল হোসেন যদি বিশ্বকাপের সেই ভয়ঙ্কর ফর্ম ফিরে পান, তাহলে বিপক্ষের বিপদ আরও বাড়বে। সোহাগ গাজী কেমন করেন, চোখ থাকবে সেদিকেও।
এই দলের ঘূর্ণিজাল বিস্তারকারী হিসাবে আছেন দুই সানি- আরাফাত আর ইলিয়াস। আরাফাত সানি অ্যাকশন বদলে কেমন করেন, সেটা দেখার বিষয়। সাইদ আজমলের মতো দুসরা আজমল হয়ে গেলেই বিপদ!

আরেকজনের কথা বলতে ভুলে গেছি, দাসুন সানাকা। অনেকেই হয়তো চেনেন না। এই লোকটা অনেক কার্যকর হবে তার মিডিয়াম পেস আর ছোট ছোট সুইং দিয়ে। সাথে যদি জ্বলে ওঠেন নাসির জামশেদ, তাহলে এই দলের ভালো সম্ভবনা আছে শিরোপা জয়ের।
দেখাই যাক, বিশ্বসেরা সব্যসাচীর অভাব কতটা ভোলাতে পারেন এরা সবাই মিলে!
রংপুর রাইডার্স স্কোয়াড
- সৌম্য সরকার (অলরাউন্ডার, বাংলাদেশ)
- শহীদ আফ্রিদি (অলরাউন্ডার, পাকিস্তান)
- রুবেল হোসেন (বোলার, বাংলাদেশ)
- জিয়াউর রহমান (অলরাউন্ডার, বাংলাদেশ)
- সোহাগ গাজী (বোলার বাংলাদেশ)
- আরাফাত সানি (অলরাউন্ডার, বাংলাদেশ)
- ইলিয়াস সানি (বোলার, বাংলাদেশ)
- নাঈম ইসলাম (অলরাউন্ডার, বাংলাদেশ)
- শাহবাজ চৌহান (বোলার, বাংলাদেশ)
- দাসুনা শানাকা (অলরাউন্ডার, শ্রীলঙ্কা)
- শারজিল খান (ব্যাটসম্যান, পাকিস্তান)
- জিহান রুপাসিঙ্ঘে (অলরাউন্ডার, শ্রীলঙ্কা)
- গিডরন পোপ (ব্যাটসম্যান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
- সাচিত্রা সেনানায়েকে (বোলার, শ্রীলঙ্কা)
- নাসির জামশেদ (ব্যাটসম্যান, পাকিস্তান)
- পিনাক ঘোষ (ব্যাটসম্যান, বাংলাদেশ)
- মুক্তার আলী (অলরাউন্ডার, বাংলাদেশ)
- মোহাম্মদ মিঠুন (ব্যাটসম্যান, বাংলাদেশ)
- জুপিটার ঘোষ (অলরাউন্ডার, বাংলাদেশ)
- মোহাম্মদ শাহজাদ (ব্যাটসম্যান, পাকিস্তান)
- বাবর আজম (ব্যাটসম্যান, পাকিস্তান)
- রিচার্ড গ্লিসন (বোলার, ইংল্যান্ড)
- মেহরাব হোসেন (বোলার, বাংলাদেশ)
- লিয়াম ডসন (অলরাউন্ডার, ইংল্যান্ড)
সম্ভাব্য একাদশ : সৌম্য, আফ্রিদি, রুবেল, মুক্তার, নাঈম, নাসির, মিঠুন, জিয়াউর, শাহজাদ, ডসন, আরাফাত সানি
কোচ : জাভেদ ওমর বেলিম