

মার্সিসাইড ডার্বি। ইংলিশ ফুটবলের ইতিহাসে সবচাইতে বেশি সময় ধরে চলতে থাকা একটি ডার্বি। ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে এটি প্রথম খেলা হয়। লিভারপুল শহরের দুটি ক্লাব লিভারপুল এবং এভারটন এই ডার্বি তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। মুলত ১৯৫৫ সালে এর নামকরন করা হয় মার্সিসাইড ডার্বি।
ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম সফল দল লিভারপুল। লিভারপুলের ইতিহাস এবং সাফল্যের সামনে খানিকটা ফিকেই বলা যায় এভারটনের ইতিহাসকে। এখন পর্যন্ত ১৮ বার লীগ জেতা লিভারপুলের পাশে এভারটনের লীগ শিরোপা ৯ টি। ইউরোপের অন্যতম পরাশক্তির হিসেবে লিভারপুলের নামের পাশেও এভারটনের নাম খানিকটা বেমানান। তবে, প্রিমিয়ার লীগে এই দুই দলের মুখোমুখিতে আগের কোন হিসেব খুব একটা কাজে আসে না। পরিবার এখানে বিভক্ত। লড়াইটা সম্মানের। তাই, আর যাই হোক, কোন দলই কারো সামনে সহজে মাথা নত করে না।
২২৩ বারের মোকাবেলায় লিভারপুলের জয় ৮৯ টিতে, এভারটনের ৬৬টি, ড্র হয়েছে ৬৮ টি ম্যাচ। মার্সিসাইড ডার্বিতে সবচাইতে বেশি গোলের মালিক লিভারপুল কিংবদন্তী ইয়ান রাশ। তার গোল সংখ্যা ২৫। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় আছেন এভারটনের ডিক্সি ডিন (১৮)


২০১৪-১৫ মৌসুমে কাল এভারটনের মাঠ গুডিসন পার্কে (০৭/০২/২০১৫) দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হবে দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী। আগের বারের দেখায় খেলা শেষ হয় ১-১ এ। এনফিল্ডে গোল করেছিলেন লিভারপুলের হয়ে স্টিভেন জেরার্ড আর এভারটনের হয়ে ফিল জাগিয়েলকা।
মূল প্লেয়ারঃ
লিভারপুলের হয়ে ইঞ্জুরির পর মূল একাদশে হতে পারেন ড্যানিয়েল স্টারিজ। স্টার্লিং, কৌটিনিয়ো, এমরে শ্যান,স্টিভেন জেরার্ডরা তো আছেন স্টারিজ কে গোলের যোগান দিতে। এটাই হতে পারে স্টিভেন জেরার্ডের খেলা শেষ মার্সিসাইড ডার্বি। তাই তিনিও চাইবেন শেষ খেলায় নিজেকে উজাড় করে দিতে।

ফর্ম বিবেচনায় খুব একটা সুবিধাজনক স্থানে না থাকলেও বিপজ্জনক প্লেয়ার হিসেবে দেখা যেতে পারে লেইটন বেইন্স কে। এছাড়া রোমেলু লুকাকু, কেভিন মিরালাস, রস বার্কলি, এইডেন ম্যাকগিডি, শেইমাস কোলম্যানও চাইবেন গুডিসন পার্কে আসা দর্শকদের সেরা খেলাটা উপহার দিতে।
খেলার ফলাফল যাই হোক পুরো ফুটবল বিশ্ব এক রোমাঞ্চকর ডার্বি দেখার প্রত্যাশায় মুখিয়ে থাকবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।