
বিশ্বমঞ্চে ডেনমার্ক দলকে দেখা যাবে, কিন্তু মর্টেন ওলসেন থাকবেন না, এরকম এর আগে কখনো ভাবাই যেত না। কিন্তু এখন ভাবতে হচ্ছে। সত্তর বা আশির দশকে ডেনমার্ক ফুটবল দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন ওলসেন, ছিলেন দলের অধিনায়কও। তারপর ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত টানা ১৬ বছর জাতীয় দল ডেনমার্কের দায়িত্বে ছিলেন এই ওলসেন। কিন্তু ২০১৪ বিশ্বকাপ ও ২০১৬ ইউরোতে ডেনমার্ককে নিয়ে যেতে না পারার জন্য ওলসেনই পদত্যাগ করেন কোচের দায়িত্ব থেকে, তার জায়গায় ড্যানিশ ফেডারেশন নিয়ে আসেন আগে হারেইদে কে। এই কোচই ডেনমার্ককে আবারো বিশ্বকাপে নিয়ে যাচ্ছেন এইবার, ঘোষণা করেছেন ২৩ সদস্যের স্কোয়াড। দেখে নিন কে কে আছে ডেনমার্ক দলে!
গোলরক্ষক
- ক্যাসপার শ্মাইকেল (লেস্টার সিটি)
- জোনাস লোয়েসল (হাডার্সফিল্ড টাউন)
- ফ্রেডেরিক রোনোউ (আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট)
ডিফেন্ডার
- সিমোন কায়ের (সেভিয়া)
- আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টিয়ানসেন (চেলসি)
- ইয়ানিক ভেস্টারগার্ড (বরুশিয়া মনশেনগ্ল্যাডবাখ)
- ম্যাথিয়াস জর্গেনসেন (হাডার্সফিল্ড টাউন)
- হেনরিক ডালসগার্ড (ব্রেন্টফোর্ড)
- হোনাস নুসডেন (ইপসউইচ টাউন)
- ইয়েন্স স্ট্রিগার লারসেন (উদিনেসে)
মিডফিল্ডার
- ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন (টটেনহ্যাম হটস্পার)
- থমাস ডেলানি (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড)
- ল্যাস শোয়েনে (আয়াক্স আমস্টারডাম)
- পিওনে সিসতো (সেল্টা ভিগো)
- মিকায়েল ক্রন ডেলি (দেপোর্তিভো লা করুনিয়া)
- উইলিয়াম কভিস্ট (এফসি কোপেনহেগেন)
- ভিক্টর ফিশার (এফসি কোপেনহেগেন)
- লুকাস লেরাগের (বোর্দো)
স্ট্রাইকার
- ইউসুফ পউলসেন (র্যাসেনবলস্পোর্ত লাইপজিগ)
- নিকোলাই জর্গেনসেন (ফেইনুর্দ)
- মার্টিন ব্র্যাথওয়াইট (বোর্দো)
- ক্যাসপার ডলবার্গ (আয়াক্স আমস্টারডাম)
- আন্দ্রে কর্নেলিয়াস (আটালান্টা)

কোচ আগে হারেইদের মূল লক্ষ্য হল দলের সেরা খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের সর্বোচ্চ উপযোগিতাটা পাওয়া। আগের কোচ মর্টেন ওলসেন যে কাজটা আগে ঠিকঠাকমত করতে পারেননি সে কাজটাই এখন হারেইদে বেশে ভালোভাবে করছেন, এরিকসেনকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগে যা ইচ্ছা তাই করবার। আর এর সুফলও পাচ্ছে ডেনমার্ক, যে এরিকসেন আগে ওলসেনের আমলে ৫৭ ম্যাচে ৬ গোল করেছিলেন, এখন হারেইদের অধিনে এর মধ্যে বিশটার বেশী ম্যাচ খেলে ষোলটা গোল করে ফেলেছেন এরিকসেন।
লেস্টার সিটির হয়ে দুইবছর আগে ইংলিশ লিগ জেতা গোলরক্ষক ক্যাসপার শ্মাইকেল এই দলের মূল গোলরক্ষক। তাঁর বিকল্প হিসেবে দলে আছেন ইংলিশ লিগে খেলা আরেক গোলরক্ষক, হাডার্সফিল্ড টাউনের জোনাস লোয়েসল। বাকীজন আইনট্র্যাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্টের ফ্রেডেরিক রোনোউ।
কোচের মূল পছন্দ ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে ডেনমার্ক দলকে খেলানো, কখনো কখনো ৪-৩-৩ ফর্মেশনেও খেলতে দেখা যায় তাদের। এই ফর্মেশনে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে জুটি বাঁধবেন অধিনায়ক সিমোন কায়ের আর চেলসির তরুণ সেন্টারব্যাক আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টিয়ানসেন। বিকল্প সেন্টারব্যাক হিসেবে দলে রাখা হয়েছে হাডার্সফিল্ড টাউনের ম্যাথিয়াস জর্গেনসেন ও বরুশিয়া মনশেনগ্ল্যাডবাখের ইয়ানিক ভেস্টারগার্ডকে। রাইটব্যাক হিসেবে কোচের মূল পছন্দ ব্রেন্টফোর্ডের হেনরিক ডালসগার্ড, মূল লেফটব্যাক হিসেবে দলে আছেন উদিনেসেতে খেলা ইয়েন্স স্ট্রিগার লারসেন।
সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে জুটি বাঁধবেন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার উইলিয়াম কভিস্ট ও এই মৌসুমেই বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে যোগ দেওয়া মিডফিল্ডার থমাস ডেলানি। দলে তাদের বিকল্প হিসেবে আছেন আয়াক্স আমস্টারডামের ল্যাস শোয়েনে ও লার্স লেরাগের। আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে দলের সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের জায়গা পাকা, তার দুইপাশে খেলবেন দুই তরুণ তুর্কি সেল্টা ভিগোর লেফট উইঙ্গার পিওনে সিসতো ও র্যাসেনবলস্পোর্ত লাইপজিগের ইউসুফ পউলসেন।
এই দলের মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলার কথা ছিল সাবেক আর্সেনাল স্ট্রাইকার নিকলাস বেন্টনারের, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত চোটে পড়ে এবারের বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না তার। ফলে সেই জায়গায় খেলতে পারেন ফেইনুর্দের স্ট্রাইকার নিকোলাই জর্গেনসেন। বিকল্প স্ট্রাইকার হিসেবে দলে আছেন আয়াক্সের ক্যাসপার ডলবার্গ ও আটালান্টার আন্দ্রেয়াস কর্নেলিয়াস।
নতুন কোচের অধীনে মূল পর্বে তো জায়গা হল, কিন্তু এই স্কোয়াড নিয়ে কতটুকু এগোনো যাবে?
স্কোয়াড প্রিভিউ দেখুন আরও –
- ইংল্যান্ড
- আইসল্যান্ড
- ব্রাজিল
- কোস্টারিকা
- সুইডেন
- ফ্রান্স
- পর্তুগাল
- সেনেগাল
- মরক্কো
- আর্জেন্টিনা
- স্পেইন
- জাপান
- উরুগুয়ে
- সার্বিয়া
- জার্মানি
- মিশর
- রাশিয়া
- ক্রোয়েশিয়া
- বেলজিয়াম
- নাইজেরিয়া
- কলম্বিয়া