
কাল ওকস এর ক্যাচ ফেলে জাতীয় ভিলেন হয়ে গেছেন ইমরুল কায়েস। অথচ, প্রথম ওয়ানডেতে অসাধারণ শতকের পর তিনিই ছিলেন গণমানুষের নায়ক। খেলোয়াড়ের জীবনটা আসলে এমনই। জিতাতে পারলে হিরো, তার নামে জয়ধ্বনি হবে। আর কখনও যদি দল তার কারনে হারে, তিনি হবেন ভিলেন। তার আগের কর্মকাণ্ড কেউ মনে রাখবে না, বর্তমানটাই রাখবে এবং তুলোধুনো করবে তাকে।
২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে ম্যাচে সাকিবের বিধ্বংসী ব্যাটিঙে বোনাস পয়েন্ট পেয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠেছিলো বাংলাদেশ, সেই ম্যাচেই কিন্তু অভিষেক রুবেলের। শ্রীলঙ্কাকে ১৫৩ রানে বেঁধে রাখতে রুবেলের চার উইকেটের ভূমিকা ছিল অনেক। সেই রুবেল ঐ সিরিজেরই ফাইনালে শেষ ওভারে দিলেন ২২ রান এবং বাংলাদেশ হেরে গেলে সবার মুখে একজনেরই নাম- রুবেল হোসেন! অবশ্যই নায়ক হিসেবে নয়, ভিলেন হিসেবে। রুবেল হারিয়ে দিলো, এমন একটা মনোভাব ছিল সবার। এই রুবেল আবার নায়ক হয়ে গেলেন ইংলিশদের বিপক্ষে ২০১৫ বিশ্বকাপে পর পর দুই ইওরকারে দুজন কে বোল্ড করে বাংলাদেশকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলে।
জীবন একটা ভ্রমণের মতো, এখানে আগামীকাল কি হবে কেউ বলতে পারেনা- খেলোয়াড়ের জীবনে এটাই সবথেকে বড় সত্য।