
এবার নিয়ে ছয়বার ইউরোতে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে সুইডেন। গ্রুপ ‘ই’ তে সুইডেনের বাকী তিন প্রতিপক্ষ হল একবারের চ্যাম্পিয়ন ও দুইবারের রানার্সআপ ইতালি, হট ফেভারিট বেলজিয়াম ও আয়ারল্যান্ড। সুতরাং বেশ কঠিন গ্রুপেই পড়েছে সুইডেন এ কথা বলাই যায়। আগে পাঁচবার অংশ নিলেও ইউরোতে সুইডেনের সর্বোচ্চ সাফল্য হল ১৯৯২ ইউরোতে সেমিফাইনাল পর্যন্ত ওঠা। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ কি পারবেন এবার জাতীয় দলের হয়ে কিছু জিতে নিজের এই আক্ষেপটাকে ঘোচাতে? সময়ই বলে দেবে তা! কোচ এরিক হামরেন এরই মধ্যে সুইডেনের ২৩ সদস্যের ইউরো স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন। দেখে নেওয়া যাক কিরকম হল দলটি –
- গোলরক্ষক
অ্যান্দ্রেয়া ইসাকসন (কাসিমপাসা)
রবিন ওলসেন (কোপেনহেগেন)
প্যাট্রিক কার্লগ্রেন (এআইকে)
- ডিফেন্ডার
মিকায়েল লাস্টিগ (সেল্টিক)
এরিক ইয়োহানসন (কোপেনহ্যাগেন)
অ্যান্দ্রেয়া গ্র্যাঙ্কভিস্ট (কুবান ক্রাসনোদার)
মার্টিন ওলসন (নরউইচ সিটি)
ভিক্টর লিন্ডেলয়েফ (বেনফিকা)
পোন্টাস ইয়ানসন (তোরিনো)
লুডভিগ অগাস্টিনসন (কোপেনহ্যাগেন)
- মিডফিল্ডার
এমিল ফোর্সবার্গ (আরবি লিপজিগ)
সেবাস্তিয়ান লারসন (স্যান্ডারল্যান্ড)
আলবিন একদাল (হ্যামবুর্গ)
কিম কালস্ত্রোম (গ্রাসহপার)
অস্কার হিলইয়েমার্ক (পালের্মো)
পন্টাস ওয়ার্নব্লুম (সিএসকেএ মস্কো)
অস্কার লেউইচকি (মালমো)
জিমি ডুরমাজ (অলিম্পিয়াকোস)
এরকান জেঙ্গিন (ত্রাবজোনস্পোর)
- স্ট্রাইকার
জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (প্যারিস সেইন্ট জার্মেই)
মার্কাস বার্গ (প্যানাথিনাইকোস)
জন গুইডেট্টি (সেল্টা ভিগো)
এমির কুজোভিচ (নরকোয়েপিং)
- উল্লেখযোগ্য যারা বাদ পড়েছেন
জোনাস ওলসন (ডিফেন্ডার, ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিওন)
পিয়েরে বেংগটসন (ডিফেন্ডার, মেইঞ্জ)
অস্কার ওয়েন্ট (ডিফেন্ডার, বরুশিয়া মনশেনগ্ল্যাডবাখ)
ওলা টোইভোনেন (স্ট্রাইকার, স্যান্ডারল্যান্ড)
দলে চমক বলতে সুইডেনের বহুদিনের সেনানী যুগল ; স্যান্ডারল্যান্ড স্ট্রাইকার ওলা টোইভোনেন ও ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিওন ডিফেন্ডার জোনাস ওলসনের বাদ পড়াটা। দলে সুপারস্টার বলতে অবশ্যই এবং অতি অবশ্যই – জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। ক্লাব ক্যারিয়ারে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ছাড়া মোটামুটি সবকিছু জয় করা, সবকিছু পাওয়া এই সুপারস্টার স্ট্রাইকারের আক্ষেপ বলতে একটাই, জাতীয় দলের হয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু না জিততে পারাটা। ক্যারিয়ার সায়াহ্নে এসে এই আক্ষেপটুকু তিনি ঘোচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করবেন, সে কথা বলাই যায়।
দেখে নেওয়া যাক এবারের ইউরোতে সুইডেনের মূল একাদশ কিরকম হতে পারে –

গোলরক্ষক হিসেবে সাবেক ম্যানচেস্টার সিটি গোলরক্ষক অ্যান্দ্রেয়া ইসাকসন আবারো আরেকটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট শুরু করতে যাচ্ছেন সুইডেনের হয়ে – এটা মোটামুটি নিশ্চিত। ৪-৪-২ লাইনআপে রাইটব্যাক হিসেবে বেনফিকায় খেলা ভিক্টর লিন্ডেলয়েফ খেলছেন, অপরপ্রান্তে লেফটব্যাক হিসেবে নরউইচ সিটির মার্টিন ওলসনের খেলাটা নিশ্চিত। ওলসনের ব্যাকআপ হিসেবে থাকছেন উদীয়মান লেফটব্যাক লুডভিগ অগাস্টিনসন। সেন্টারব্যাকে জুটি বাঁধবেন রাশিয়ান ক্লাব কুবান ক্রাসনোদরে খেলা অ্যান্দ্রেয়া গ্র্যাঙ্কভিস্ট ও সেল্টিকে খেলা মিকায়েল লাস্টিগ।

চার মিডফিল্ডারের মধ্যে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে জুটি বাঁধার সম্ভাবনা কিম কালস্ত্রোম ও আলবিন একদালের সবচেয়ে বেশী। যদিও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে জায়গা পাওয়ার জন্য অস্কার লেউইচকি বা অস্কার হিলইয়েমার্কের সাথে লড়াই করতে হবে তাঁদের। লেফট মিডফিল্ডে থাকবেন এমিল ফোর্সবার্গ, তাঁর সাথে জায়গার জন্য লড়াই করবেন জিমি ডুরমাজ। রাইট মিডফিল্ডে মূল একাদশে খেলতে পারেন এরকান জেঙ্গিন, তাঁর সাথে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়াই করবেন স্যান্ডারল্যান্ডের সেবাস্তিয়ান লারসন।

আর স্ট্রাইকে ত অধিনায়ক জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ থাকছেনই, সাথে তাঁর স্ট্রাইক পার্টনার হিসেবে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী প্যানাথিনাইকোসে খেলা স্ট্রাইকার মার্কাস বার্গের।
ইব্রা কি পারবেন সুইডেনের হয়ে কিছু জিততে? অপেক্ষা ১০ জুনের!